সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬

প্রতিষ্ঠানঃ কোকোলা ফুডস প্রোডাক্টস লিঃ


প্রতিষ্ঠানঃ কোকোলা ফুডস প্রোডাক্টস লিঃ

পদের নামঃ এরিয়া সেলস ম্যানেজার, টেরিটরি সেলস অফিসার
আবেদনের শেষ তারিখঃ ২৮ জুলাই ২০১৬ ইং
বিস্তারিতঃ 

Cocola Food Products Ltd Job Circular


বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)বিশাল জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিশাল জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি


বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিশাল জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ সুত্র: কালেরকন্ঠ

প্রকাশকালঃ ১৮ জুলাই ২০১৬
বেতন : ৯,০০০ থেকে ২১,৮০০ টাকা
আবেদনের শেষ তারিখঃ ২৩ জুলাই ২০১৬

BGB Job Circular - Border Guard Bangladesh

দেশসেবার সুযোগ দিয়ে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ৯০তম ব্যাচের জন্য সিপাহি পদে দেশের ৬৪ জেলা থেকেই পুরুষ ও মহিলা নিয়োগ দেওয়া হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
আবেদনের জন্য পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হবে। প্রার্থীদের মাধ্যমিকে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
শারীরিক যোগ্যতা
পুরুষ : সাধারণ পুরুষ প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি, ওজন ৪৯.৮৯৫ কেজি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩৪ ইঞ্চি হতে হবে। অন্যদিকে উপজাতীয় পুরুষদের ক্ষেত্রে উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি, ওজন ৪৭.১৭৩ কেজি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি হতে পারবে।
মহিলা : মহিলা প্রার্থীদের উচ্চতা পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি, ওজন ৪৭.১৭৩ কেজি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি হতে হবে। তবে উপজাতীয় মহিলাদের ক্ষেত্রে উচ্চতা পাঁচ ফুট এবং ওজন ৯৬ পাউন্ড হতে পারবে।
পুরুষ-মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ থাকতে হবে।
অন্যান্য যোগ্যতা
আবেদনকারীদের বয়স ৮ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে ১৮ থেকে ২৩ বছর হতে হবে। প্রার্থীদের অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। পাশাপাশি অবেদনের জন্য সাঁতার জানতে হবে।
প্রার্থী নির্বাচন ও প্রশিক্ষণ
প্রার্থীদের প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা ও চূড়ান্ত ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে।
বেতন ও ভাতা
নিয়োগপ্রাপ্ত সিপাহি প্রতি মাসে ৯ হাজার থেকে ২১ হাজার ৮০০ টাকা বেতন পাবেন। পাশাপাশি বাড়িভাড়া, বাসস্থান ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
আগামী ২১ থেকে ২৩ জুলাই-২০১৬ তারিখ পর্যন্ত টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে ভর্তির জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য দৈনিক ইত্তেফাক এবং কালেরকন্ঠ পত্রিকায় ১৮ জুলাই-২০১৬ তারিখে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনটি দেখুন :
  






Download Circular HD Picture 

তথ্যপ্রযুক্তিতে ভাতাসহ প্রশিক্ষণ নিতে হলে

এখন প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই অন্যান্য বিভাগের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের অভাবে আজকাল অনেকেরই এসব প্রতিষ্ঠানের চাকরি থেকে বঞ্চিত হতে হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানগুলো চায় তাদের প্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকদের নিয়োগ করতে। তাই বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তিতে একজন প্রশিক্ষিত ও দক্ষ লোকের চাহিদা আছে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই। আর যাঁরা তথ্যপ্রযুক্তির ওপর বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণ নেন, তাঁদের জন্য চাকরি পাওয়াটা অনেকটাই সহজ হয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
যাঁরা তথ্যপ্রযুক্তিতে নিজের পেশা গড়তে চান, তাঁদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিয়েছেন ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশনাল ওয়াকফ (আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ)। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেবে বলে জানিয়েছে। আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ সূত্রে জানা গেছে, দেশের সুবিধাবঞ্চিত মুসলমান মেধাবী যুবসমাজের শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২০০৩ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠান তথ্যপ্রযুক্তির নানা বিষয়ে বিনা ফিতে বিভিন্ন মেয়াদি প্রফেশনাল ডিপ্লোমা প্রদান করে আসছে। ইতিমধ্যে যাঁরা এসব কোর্স সম্পন্ন করেছেন, এঁদের মধ্যে অধিকাংশই দেশে-বিদেশে তথ্যপ্রযুক্তি পেশায় কাজ করছেন। প্রতিবছর চারটি সেশনে এখানে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি করানো হয়। এখন চলছে রাউন্ড ৩২-এর আবেদন প্রক্রিয়া। আবেদন করতে হবে ৩০ জুনের মধ্যে।
এই ব্যাচে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, এর মধ্যে আর্কিটেকচারাল অ্যান্ড সিভিল ক্যাড, ডেটাবেইস ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমস অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন, গ্রাফিকস, অ্যানিমেশন ও ভিডিও এডিটিং, নেটওয়ার্কিং টেকনোলজিস এবং ওয়েব-প্রেজেন্স সলিউশনস অ্যান্ড ইমপ্লিমেনটেশনস এসব বিষয়ে। কোর্সভেদে ১১ থেকে ১৩ মাস মেয়াদি এসব প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হলে আবেদনকারীকে স্নাতক/ফাজিল/মাস্টার্স/কামিল/ডিপ্লোমা (সিভিল/আর্কিটেকচার/কনস্ট্রাকশন/সার্ভে) পাস হতে হবে। তবে এক বছর মেয়াদি মাস্টার্সে অধ্যয়নরত এবং দুই বছর মেয়াদি মাস্টার্স/কামিলে যাঁরা শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন, তাঁরাও আবেদনের সুযোগ পাবেন। আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে apply.idb-bisew.info এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের যেকোনো শাখা থেকে আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। এই আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ডাকযোগে পাঠাতে হবে। এখানে প্রতি ব্যাচে ৩০০ জন করে বছরে ১ হজার ২০০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারেন। আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ রায়হান বাশার বলেন, আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরে পরীক্ষা হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা হবে। এই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। সপ্তাহে ৬ দিন ৪ ঘণ্টা করে এসব প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে মনোনীত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে। এসব প্রশিক্ষণ দেবে দেশের বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। এখানে প্রফেশনাল কোর্সটির আগে দুই মাসের ফান্ডামেন্টাল কোর্স করতে হবে। এতে ভালো করতে পারলে পরে মূল প্রফেশনাল কোর্সগুলোতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
রায়হান বাশার বলেন, এই প্রফেশনাল কোর্স করার সময় প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা করে ভাতা হিসেবে দেওয়া হবে।
তথ্যপ্রযুক্তির ওপর এসব প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিমা কোম্পানি, বায়িং হাউস, আইটি ফার্ম, এনজিও ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অনেক সুযোগ পাওয়া যাবে। সবচেয়ে সুযোগ আছে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোতে। এতে ভালো বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাওয়া যাবে। এ ছাড়া নিজে ব্যবসা করেও ভালো আয় করা সম্ভব। অর্থাৎ যেখানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আছে, সেখানেই তাঁরা কাজের সুযোগ পাবেন বলে জানান রায়হান বাশার।
আরও জানতে: কোর্স-সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশনাল ওয়াকফ (আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ)
আইডিবি ভবন (৫ম তলা) শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭
ফোন: ৯১৮৩০০৬।
Web: (www.idb-bisew.org)

কারারক্ষী পদে লোক নিয়োগ

..

সম্প্রতি কারা অধিদপ্তর কারারক্ষী পদে লোক নেবে বলে বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ পদে পুরুষ ও মহিলা উভয় প্রার্থীই আবেদন করতে পারবেন। এ পদের বাছাই পরীক্ষা ২২ জুলাই সকাল ৯টায় নির্ধারিত ফরম পূরণ করে জেলাভিত্তিক সশরীরে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত প্যারেড মাঠে উপস্থিত হতে হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি পাস বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আর বয়স সাধারণ ও অন্যান্য কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ জুলাই ২০১৬ তারিখে ১৮ থেকে ২১ বছরের মধ্যে হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর হলে আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে এবং প্রার্থী যে জেলার বাসিন্দা, কেবল সেই জেলার প্রার্থী হিসেবে এ পদে নিয়োগের জন্য উপস্থিত হতে হবে। আর শারীরিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা কমপক্ষে ১.৬৭ মিটার, বুক কমপক্ষে ৮১.২৮ সেমি এবং ওজন কমপক্ষে ৫২ কেজি হতে হবে। অন্যদিকে মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে ১.৫৭ মিটার, বুক ৭৬.৮১ সেমি এবং ওজন কমপক্ষে ৪৫ কেজি হতে হবে।
পরীক্ষার পদ্ধতি
প্রার্থীদের প্রথমে শারীরিক মাপ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের একই দিনে দেড় ঘণ্টার ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লিখিত পরীক্ষার বিষয় থাকবে চারটি—বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান। কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এসএসসি উত্তীর্ণের প্রশ্নের মান যে ধরনের হয়ে থাকে, লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন তেমনই হবে।’ লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যবইগুলো ভালোভাবে পড়লে ভালো করা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবার ৩০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। উভয় পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাস হতে হবে। তবে জেলার নিয়োগযোগ্য প্রকৃত শূন্য পদের বিপরীতে কোটাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বাছাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকালে প্রার্থীকে প্রতিটি সার্টিফিকেটের মূল কপির সঙ্গে অতিরিক্ত ১ কপি সত্যায়িত ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে। এ ছাড়া নমুনা ফরমের অনুকরণে পূরণ করা আবেদনপত্রের সঙ্গে সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদের মূল কপি, জেলার স্থায়ী বাসিন্দা প্রমাণস্বরূপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়র বা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি, ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি এবং কারা মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ, ঢাকার অনুকূলে পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ১-২২৫১-০০০০-২০৩১ নম্বর কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা করে চালানের মূল কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি
চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত একজন কারারক্ষী জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ৯ হাজার টাকা স্কেলে বেতন পাবেন। এ ছাড়া বিধি মোতাবেক প্রাপ্য অন্যান্য ভাতাসহ কারা অধিদপ্তরাধীন বিভিন্ন কারাগারের জন্য নির্ধারিত বিনা মূল্যে পোশাকসামগ্রী, ঝুঁকিভাতা, চিকিৎসাসুবিধা, নিজ ও পরিবারের নির্ধারিতসংখ্যক সদস্যদের জন্য স্বল্পমূল্যে পারিবারিক রেশনসামগ্রী সুবিধা পাওয়া যাবে। আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, একজন কারারক্ষী তাঁর দক্ষতা ও যোগ্যতা এবং বিভিন্ন বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী প্রধান কারারক্ষী, প্রধান কারারক্ষী, সর্বপ্রধান কারারক্ষী, সার্জন ইন্সপেক্টর পর্যন্ত হতে পারেন।

কল সেন্টারে ৫০০ কর্মী নেবে বাক্য

কল সেন্টারে ৫০০ কর্মী নেবে বাক্য

কাজের সুযোগ থাকায় প্রতিনিয়তই কল সেন্টারে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছেকাজের সুযোগ থাকায় প্রতিনিয়তই কল সেন্টারে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে
তরুণদের মধ্যে পছন্দসই খণ্ডকালীন চাকরির যত ক্ষেত্র আছে, কল সেন্টার তার অন্যতম। বাংলাদেশে প্রথম কল সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়েছিল মাত্র ৩০০ জন কর্মী দিয়ে, কিন্তু কয়েক বছর যেতে না-যেতেই এই খাতে কর্মী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় কয়েক হাজারে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) হিসাবমতে, বর্তমানে শুধু তাদের সদস্যই রয়েছে ৮৫টি কোম্পানি, যেখানে কাজ করছেন প্রায় ৩০ হাজার কর্মী। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির কারণে দেশে কল সেন্টারের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি পড়াশোনার পাশাপাশি সুবিধামতো সময়ে কাজের সুযোগ থাকায় প্রতিনিয়তই এই খাতে তরুণদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে বলে জানান বাক্যর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন। তিনি আরও বলেন, কল সেন্টারের সংখ্যা বর্তমানে বাড়তে থাকায় প্রতি মাসেই দেশের বিভিন্ন কল সেন্টারে কয়েক হাজার কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে, যা একটি চলমান প্রক্রিয়া। যার ধারাবাহিকতায় আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিট ২০১৬ উপলক্ষে বাক্যর তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন কল সেন্টারে প্রায় ৫০০ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
* কাজের ধরনগ্রাহকদের কাছে ফোনে মার্কেটিং করে পণ্য বিক্রি করা অথবা বিক্রয় করা পণ্য সম্পর্কে যেকোনো সেবা নিশ্চিত করা, জিজ্ঞাসা, সমস্যার সমাধান দেওয়া ইত্যাদি কাজগুলোই করে থাকেন কল সেন্টারের প্রতিনিধিরা। কল সেন্টারের কাজগুলোকে মোটা দাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ভয়েস এবং নন-ভয়েস সার্ভিস। ভয়েস সার্ভিসে ফোনে বা অন্য কোনো মাধ্যমে গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের জিজ্ঞাসা এবং সমস্যার সমাধান দিতে হয়; অন্যদিকে নন-ভয়েস সার্ভিসে অন্যান্য কাজ করা হয়, যেমন ডেটা এন্ট্রি, কাস্টমার ভেরিফিকেশন ইত্যাদি। ভয়েস সার্ভিসে আমাদের দেশের কল সেন্টারগুলো স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক—এই দুই ধরনের সেবা দিয়ে থাকে।

কল সেন্টারের ধরন এবং তারা যে সেবা দেয়, তার ওপর মূলত নির্ভর করে আবেদনকারীর শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা। কল সেন্টারের বেশির ভাগ কাজই হলো খণ্ডকালীন, তবে খণ্ডকালীন চাকরির পাশাপাশি পূর্ণকালীন কাজের জন্যও কল সেন্টারগুলোতে প্রচুর লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। আর তাই কল সেন্টারে খণ্ডকালীন এবং পূর্ণকালীন চাকরির জন্য যোগ্যতাগুলোও আলাদা হয়ে থাকে। কল সেন্টারে খণ্ডকালীন চাকরির জন্য আবেদন করতে আবেদনকারীকে বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কলেজে অনার্স বা ডিগ্রি পড়ুয়া হতে হবে এবং পূর্ণকালীন চাকরির জন্য আবেদন করতে আবেদনকারীকে কমপক্ষে স্নাতক হতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর পূর্বে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে তাঁকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি আবেদনকারীকে শুদ্ধ করে বাংলায় কথা বলা, সুন্দর উপস্থাপনা, কম্পিউটার ব্যবহার সম্পর্কে মৌলিক ধারণা থাকা, স্মার্ট, উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি বাড়তি যোগ্যতাও থাকা জরুরি বলে জানান তৌহিদ হোসেন।
কল সেন্টারে খণ্ডকালীন ও পূর্ণকালীন চাকরির আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে অনলাইনে www.bikroy.com/bposummitbangladesh এই লিংকে গিয়ে যে পদের জন্য আবেদন করবেন, সেখানে ক্লিক করে যথাযথভাবে নিজের নাম, ফোন নম্বর ও মেইল অ্যাড্রেস দিয়ে জীবনবৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হবে। আবেদন করা যাবে আগামী ২০ জুলাই ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত।
আগ্রহী প্রার্থীদের কাছে থেকে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার পর সেখান থেকে বাছাই করা প্রার্থীদের ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হবে। সেখানে প্রয়োজনভেদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীদের হাতে আগামী ২৭ ও ২৮ জুলাই ২০১৬ তারিখে হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠেয় বিপিও সামিট ২০১৬ অনুষ্ঠানে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে।
কল সেন্টারে কাজের ধরন ও ক্ষেত্রভেদে বেতন ওঠানামা করে। তবে খণ্ডকালীন চাকরির ক্ষেত্রে বেতন ৮ হাজার থেকে ১৫ হাজার এবং পূর্ণকালীন চাকরির ক্ষেত্রে বেতন ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে বলে জানান বাক্যর এক্সিকিউটিভ কো-অর্ডিনেটর আবদুর রহমান শাওন। এ ছাড়া কল সেন্টারে কর্মরত কর্মীরা নিয়মিত বেতনের পাশাপাশি সেলস বোনাস, পারফরম্যান্স বোনাস ইত্যাদি নানা সুবিধা পেয়ে থাকেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)
২৪২/এ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোড, ঢাকা-১২০৮।
ওয়েবসাইট: www.bacco.org.bd

১৫০০ শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে

তিনটি বিষয়ে শিক্ষক নেওয়া হবে। পুরুষ প্রার্থীর পাশাপাশি নারী প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন l ছবি: প্রথম আলোতিনটি বিষয়ে শিক্ষক নেওয়া হবে। পুরুষ প্রার্থীর পাশাপাশি নারী প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন l ছবি: প্রথম আলো
গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ স্কুল বা মাদ্রাসায় পর্যাপ্তসংখ্যক বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নেই। এমনকি বিষয় শিক্ষক থাকলেও তাঁরা যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। এসব কারণে গ্রামাঞ্চলের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় তেমন একটা ভালো ফল করতে পারে না। স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে মানসম্মত শিক্ষার প্রসার, শিক্ষকস্বল্পতা ও ঝরে পড়া রোধ করে শিক্ষার্থীদের ধরে রাখার হার বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এ্যানহেন্সমেন্ট (সেকায়েপ) প্রকল্পে ২০১৭ সালের মধ্যে সারা দেশের ৬৪টি জেলায় নির্ধারিত ৬৪টি উপজেলায় অবস্থিত ২ হাজার স্কুল ও মাদ্রাসায় মোট ৬ হাজার অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হবে বলে সেকায়েপ সূত্রে জানা গেছে। এই প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান খান মজলিশ বলেন, ‘প্রতিটি স্কুলে ৩ জন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এ নিয়োগে চুক্তির মেয়াদ হবে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে যদি এই প্রকল্প প্রোগ্রামে রূপান্তরিত হয়, তাহলে এসব শিক্ষকেরা স্থায়ীভাবে নিয়োগের সুযোগ পাবেন।’ সেকায়েপ সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পে ইতিমধ্যে এর আগে কয়েকটি ধাপে ৪ হাজার ৫০০ জন এটিসি নিয়োগ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এই ধাপে ১ হাজার ৫০০ জন এসিটি নিয়োগ করা হবে।
ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান (পদার্থ, রসায়ন, জীব) এই তিনটি বিষয়ে শিক্ষক নেওয়া হবে। পুরুষ প্রার্থীর পাশাপাশি নারী প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া বয়সের কোনো নির্দিষ্ট সীমা না থাকায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকেরাও আবেদনের সুযোগ পাবেন। এ পদে আবেদনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে কমপক্ষে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৩০০ নম্বর পেয়ে স্নাতক পাস। তবে স্নাতক (সম্মান ও পাস) পর্যায়ে ৫০ ভাগ বা সিজিপিএ ৪-এ ২.৫ পেয়ে পাস করতে হবে।
ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আবেদন করতে হবে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে।
এ পদে আবেদন করতে হলে সেকায়েপের ওয়েবসাইট www.seqaep.gov.bd/jobs এই ঠিকানায় গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন পূরণ করার পর প্রার্থীকে অনলাইন আবেদনপত্রের কপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরাসরি বা ডাকযোগে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক বরাবর পাঠাতে হবে।
আসাদুজ্জামান খান মজলিশ বলেন, প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে মেধা ও ফলাফলের ভিত্তিতে এ বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শুধু নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা সেকায়েপের ওয়েবসাইট ও নির্বাচিত প্রার্থীদের মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হবে। প্রার্থীদের কোনো বাছাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে না। আগামী জানুয়ারিতে তাঁদের নির্ধারিত উপজেলার স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ করা হবে। তবে প্রার্থী যে জেলার বাসিন্দা, তাঁকে সেই উপজেলার নির্ধারিত স্কুল বা মাদ্রাসায় কাজ করতে হবে।
চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রথম শ্রেণির স্নাতক পাস একজন অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) সাকল্যে মাসিক ২৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন। অন্যদিকে, দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক পাস একজন এসিটি সাকল্যে ২২ হাজার টাকা বেতন পাবেন। এসিটি বিষয় শিক্ষক তাঁদের কর্মকালে প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত শিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন। প্রত্যেক অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষককে মাসে নিয়মিত ক্লাস ছাড়াও ন্যূনতম ১৬টি অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে। এই অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য শিক্ষকেরা ৮ হাজার টাকা প্রণোদনা ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা পাওয়া যাবে, যা বেতনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে।
বিস্তারিত জানতে: এই নিয়োগ-সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে- ৯৫৫৫১৩৭। এ ছাড়া ভিজিট করতে পারেন www.seqaep.gov.bd এই ঠিকানায়।

ফটোগ্রাফি করে ইন্টারনেটে আয়

ফটোগ্রাফি করে ইন্টারনেটে আয়

ফটোগ্রাফি একটা শখের বিষয়। এই শখটাকেই আজকাল অনেকে পেশা বানিয়ে নিচ্ছেন। শখের সঙ্গে যদি পেশার সামঞ্জস্য হয়ে যায় তাহলে ক্ষতি কী? শখ থেকেই যদি হয়ে যায় অন্নের সংস্থান তাহলে সেটাই তো ভালো। তাই নয় কী? ক্যামেরা আবিষ্কারের পর থেকেই বিশ্বের বহুকোটি মানুষ ছবি তোলার শখের কারণে বনে-পাহাড়ে ঘুরে বেড়াতে থাকেন দিনের পর দিন। অতীতে এই কাজটি অনেকটা জটিল থাকলেও বর্তমান সময়ের ডিজিটাল ক্যামেরার এই কাজকে একেবারে সহজ করে দিয়েছে। ফটোগ্রাফির এই শখটি ব্যবহার করেই ইচ্ছা করলে আয় করতে পারবেন ইন্টারনেট থেকে। কিংবা পেশার বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায় ফটোগ্রাফিকে। বর্তমানে অনেকেই এটি করছেন কিংবা এগোচ্ছেন এ পথ ধরে। তাহলে আসুন এবার জেনে নিই শখের ফটোগ্রাফি করে কি কি প্রক্রিয়ায় ইন্টারনেট থেকে আয় করা যায় তার ফিরিস্তি।

ইন্টারনেটে ছবি বিক্রি করে আয়

কম-বেশি সবারই ফটোগ্রাফের চাহিদা থাকে। বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন থেকে শুরু করে শিল্প মূল্যের কারণেও মানুষ ছবি কেনেন। আপনি দক্ষ ফটোগ্রাফার হলে সেই চাহিদা পূরণ করতে পারেন। ইন্টারনেটে ছবি বিক্রির সেবা দেয়ার জন্য রয়েছে বহু প্রতিষ্ঠান। তাদের গ্যালারিতে আপনার ছবি জমা দিতে পারেন। বিক্রি হলে আপনি টাকা পাবেন। কিংবা ওই ঝামেলায় না জড়াতে চাইলে এ বিষয়ে নিজের একটি পার্সোনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। যে ওয়েবসাইট একেবারে সহজ প্রক্রিয়ায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছবি বিক্রি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যত ভালো ছবি তুলতে পারবেন তত বেশি টাকায় তা বিক্রি করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার ছবির মান এমন হতে হবে যা মানুষ টাকা দিয়ে কিনতে আগ্রহী হবেন। এ জন্য প্রয়োজন উঁচুমানের ক্যামেরা, ফটোগ্রাফি বিষয়ে জ্ঞান এবং ছবি তোলার বিষয়ে অত্যধিক আগ্রহ। পেশাদার দক্ষ ফটোগ্রাফারদের জন্য এ ব্যবস্থাটি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি কার্যকর ব্যবসা।

ব্লগ থেকে আয়


আপনি ছবি উঠাতে ভালোবাসেন কিন্তু ততটা দক্ষ নন। আপনার জন্য আগের পদ্ধতি কার্যকর না হলে নিজস্ব ব্লগে ছবি রেখে আয় করতে পারেন। ছবি বিক্রি করা প্রয়োজন নেই, বিনামূল্যের ব্লগ তৈরি করে সেখানে ছবিগুলো রাখুন। ছবির পরিমাণ যত বেশি ভিজিটর তত বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা। আপনার আয় সরাসরি ছবি থেকে আসবে না, আসবে ভিজিটর থেকে। ব্লগে গুগলের এডসেন্স, ফাস্ট ২ আর্ন, কিংবা এ ধরনের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের বিজ্ঞাপন রাখুন। ভিজিটর যত বাড়বে আয় তত বাড়বে। ব্লগ তৈরি কিংবা ফটোগ্রাফি সম্পর্কে যদি কিছুই জানা না থাকে তাহলেও এ কাজ করা সম্ভব। সাধারণ মানের একটি ক্যামেরা থাকাই যথেষ্ট। তবে মাথায় রাখবেন দক্ষ হওয়া ছাড়া কোনো পথেই বেশি দূর এগোতে পারবেন না আপনি।

ফটোগ্রাফিবিষয়ক লেখা থেকে আয়

এই মুহূর্তে যদি ফটোগ্রাফিতে দক্ষ নন আপনি। কিন্তু দক্ষতার বাড়াতে নানা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আর এ জন্য এ বিষয়ে বিস্তর পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করছেন। পরে এ বিষয়ে জ্ঞান নেয়া হলে বিষয়টিকে আয়ের উৎস হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন আপনি। ইন্টারনেটে ব্লগগুলোতে বর্তমানে ফটোগ্রাফি বিষয়ক পোস্টের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন। ফটোগ্রাফি বিষয়ক এই আর্টিকেল লিখে ইন্টারনেট থাকে সহজেই আয় করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার হিসেবে আয়

ইন্টারেটে আজকাল আয়ের ব্যাপক ক্ষেত্র তৈরি হলেও সাধারণত আমরা ফ্রিল্যান্সিং মানে প্রোগ্রামিং আর ওয়েবসাইট ডেভেলপিংই বুঝে থাকি। কিন্তু এ মাধ্যম ছাড়াও ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আরও অনক সাবজেক্ট রয়েছে। যে বিষয়গুলো থেকে আয় করা যায় হাজার হাজার ডলার। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের ওই সাইটগুলো (ফ্রিল্যান্সার বা ওডেস্ক) দেখে থাকেন তাহলে হয়ত চোখে পড়েছে সেখানেও যে ছবি ওঠানোর কাজ রয়েছে। কারো বিশেষ বিষয়ে ছবি উঠানো প্রয়োজন, আপনি ফ্রিল্যান্সার ফটোগ্রাফার হিসেবে সেই ছবি উঠিয়ে দিতে পারেন। এতে শখ পূরণের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণের অর্থও আয় করতে পারবেন।

গ্রাফিক ডিজাইনে ফটোগ্রাফি ব্যবহার করে আয়

আপনি নিজে গ্রাফিক ডিজাইনার হয়ে থাকেন কিংবা অন্য গ্রাফিক ডিজাইনারের জন্য ছবি সরবরাহকারী হোন তাহলে ফটোগ্রাফি থেকে অনেক সহজেই আয়ের পথ বের করে নিতে পারবেন। কারণ বর্তমান ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনের এ যুগে প্রায় সব বিজ্ঞাপনেই ছবির প্রয়োজন হয়। ব্যক্তি, স্থান, প্রকৃতি নানা ধরনের ছবির সংগ্রহ তৈরি করে সেখান থেকে নিয়মিত আয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে একজন ফটোগ্রাফারকে একটু দক্ষতার পরিচয় দিতে দিতে হবে। এই দক্ষতাই আয়ের পথ সুগম করে উপস্থাপন করবে আপনার সামনে।

সাধারণত উপরে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফটোগ্রাফি থেকে আয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরেও একজন ফটোগ্রাফার সবচেয়ে বেশি আয়ের সুযোগ পান ইভন্টের ফটোগ্রাফি করে। যে কোনো অনুষ্ঠানের ছবি তোলার পাশাপাশি ফটোগ্রাফিক স্টুডিও ও সব ধরনের আয়ের জন্যই ফটোগ্রাফি আপনার অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস হতে পারে।

কৃষি ব্যাংকে ৭ শতাধিক অফিসার নিয়োগ

কৃষি ব্যাংকে ৭ শতাধিক অফিসার নিয়োগ
তরুণ প্রজন্মের পছন্দের চাকরির মধ্যে ব্যাংকিং সেক্টর শীর্ষে অবস্থান করছে। এর প্রধান কারণগুলো হল- ব্যাংকিং সেক্টরে কাজের ভালো পরিবেশ রয়েছে। বেতন কাঠামো ইর্ষণীয়। এর বাইরেও আছে বছরে বেশ কয়েকটি ইনসেনটিভ যা অন্য বহু প্রতিষ্ঠানে নেই। ব্যাংকারদের সামাজিক মর্যাদার পাশাপাশি রয়েছে চাকরি নিরাপত্তা এবং পেনশনের ব্যবস্থা। রয়েছে হাউস লোন, কার লোন। মোটকথা কেউ ব্যাংকে চাকরি পেলে তার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত। আমাদের দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বিশেষায়িত ব্যাংকের পাশাপাশি প্রচুর বেসরকারি ব্যাংক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে ব্যাংকগুলোর শাখাও। গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে এসব ব্যাংকে প্রতি বছর প্রচুর জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তাই আমাদের উচ্চ শিক্ষিত তরুণ জনগোষ্ঠীর একটি বিরাট অংশের কর্মসংস্থান হচ্ছে ব্যাংকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা পদে ৭০৪ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

বেতন-ভাতা : জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী একজন কর্মকর্তা ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা স্কেলে বেতন পাবেন। পাশাপাশি দেয়া হবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। মো. সোহেল আকন জানান, কৃষি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা, প্রায় ৬০ লাখ টাকা ঋণ এবং চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই পদোন্নতির সুবিধা পান।

আবেদনের যোগ্যতা : কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকলে অফিসার পদে আবেদন করা যাবে। এসএসসি থেকে স্নাতক পর্যায়ের পরীক্ষায় অন্তত একটিতে থাকতে হবে প্রথম বিভাগ অথবা সমমানের গ্রেড। আবেদনকারীর তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে জিপিএ ৩.০০ বা তদূর্ধ্ব প্রথম বিভাগ, জিপিএ ২.০০ থেকে ৩.০০-এর কম দ্বিতীয় এবং জিপিএ ১.০০ থেকে ২.০০-এর কম হলে ধরা হবে তৃতীয় বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৪ পয়েন্ট স্কেলে অর্জিত সিজিপিএ ৩.০০ বা তদূর্ধ্ব প্রথম শ্রেণি, ২.২৫ বা তদূর্ধ্ব কিন্তু ৩.০০-এর কম দ্বিতীয়, ১.৬৫ বা তদূর্ধ্ব কিন্তু ২.২৫-এর কম তৃতীয় শ্রেণী ধরা হবে। ৫ পয়েন্ট স্কেলে ৩.৭৫ বা তদূর্ধ্ব প্রথম, ২.৮১ বা তদূর্ধ্ব কিন্তু ৩.৭৫-এর কম দ্বিতীয় এবং ২.০৬৩ বা তদূর্ধ্ব কিন্তু ২.৮১-এর কম হলে ধরা হবে তৃতীয় শ্রেণী।

বয়স : ১ মার্চ ২০১৬ তারিখে আবেদনকারীর বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০ বছর। তবে আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর।

আবেদনের নিয়ম : আবেদন করতে কোনো টাকা-পয়সা লাগবে না। অনলাইনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের (https://erecruitment.bb.org.bd) মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। প্রায় রাষ্ট্রায়ত্ত ও বিশেষায়িত ব্যাংকে আবেদনের একই নিয়ম। ১৫ নভেম্বর ২০০৯ বা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিভি ব্যাংকে রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে আবার নিবন্ধন করতে হবে না, সিভি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আবেদন করা যাবে। তবে নতুন আবেদনকারীদের আবেদনের আগে নিবন্ধন করতে হবে। প্রার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এসএসসি বা সমমানের সনদে যেভাবে লেখা আছে, অনলাইন ফরমে সেভাবে পূরণ করতে হবে। ফলাফলের ঘরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের প্রকাশিত পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। বিবাহিত মহিলা প্রার্থীদের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে হবে স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা। আপলোড করতে হবে ৬০০ বাই ৬০০ পিক্সেল ও সর্বোচ্চ ৮০ কিলোবাইটের ছবি এবং ৩০০ বাই ৮০ পিক্সেল ও সর্বোচ্চ ৬০ কিলোবাইটের স্বাক্ষরের স্ক্যান কপি। অনলাইনে আবেদন করার পর ট্র্যাকিং নম্বরযুক্ত ফরমটি সংরক্ষণ করতে হবে।

ডেটলাইন : ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে আবেদন প্রক্রিয়া। চলবে ৭ জুন পর্যন্ত।

পরীক্ষার মানবণ্ট প্রবেশপত্রে : ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করা হবে। প্রবেশপত্রে পরীক্ষার মানবণ্টন উল্লেখ থাকবে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-এর মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান এবং কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। সময় এক ঘণ্টা। কেবল উত্তীর্ণরাই অংশ নিতে পারবেন লিখিত পরীক্ষায়। ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় সময় বরাদ্দ থাকে দুই ঘণ্টা।

বাড়তি যোগ্যতা : ব্যাংকার হওয়ার জন্য একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়তি যোগ্যতাও থাকা চাই। ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রে মোটাদাগে আবেদনকারীর বিষয়গত জ্ঞান কতটা গভীর তা যাচাই করা হয়ে থাকে। তার ফাংশনাল নলেজ খতিয়ে দেয়া হয়। ভাইবাতে প্রার্থীর জড়তা ও প্রশ্নের উত্তর নিয়ে দ্বিধাদন্দ্ব নেগেটিভ মার্কিং করা হয়। এজন্য তার বাচনভঙ্গিও স্মার্ট হওয়া জরুরি। আত্মবিশ্বাস থাকা চাই অটুট। এ ছাড়া প্রার্থীর কমিউনিকেশন স্কিল, ইংরেজি দক্ষতা, কম্পিউটারে পারদর্শিতা, সৃজনশীলতা, নেতৃত্ব গুণাগুণ, দায়িত্ববোধ, সততা, ন্যায়নিষ্ঠা সর্বোপরি সত্যিই তিনি কাজটির জন্য উপযুক্ত কি না সে বিষয়গুলো যাচাই শেষেই চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হয়।

কৃষি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করতে হলে প্রার্থীকে কোনো বিষয়গুলোতে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া উচিত এ বিষয়ে জানতে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন ব্যাংকারের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তারা জানান, ব্যাংকসহ অন্যান্য যে কোনো চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের সাবজেক্টটিভ নলেজ কতটা আছে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। তাই যে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীকেই তার বিষয়গত জ্ঞানের গভীরতা অর্জন করতে হবে। প্রার্থীকে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও দেশীয় অর্থনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। তাই অর্থনৈতিক সূচক, অর্থনৈতিক সমীক্ষা সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। প্রার্থীর কিছুটা হলেও ব্যাংকিং জ্ঞান থাকা চাই। এ ছাড়া সাধারণ জ্ঞান বিশেষ করে সাম্প্রতিক ও সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো থেকেও ভাইবাতে প্রশ্ন হয়ে থাকে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত এ ধরনের প্রশ্নও করা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে অর্থনীতি সম্পর্কে তার ধারণা-ভাবনা বিচারে নেয়া হয়। নিয়োগ পেলে কীভাবে কাজ করবেন, কেন ব্যাংকে চাকরি করতে চান- এ ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। তাই ভাইবার আগে এসব বিষয়ে প্রার্থীকে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে।

পরীক্ষা প্রস্তুতি : কৃষি ব্যাংকের গাজীপুর শাখার কর্মকর্তা আসিফ জাকারিয়া প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেন, বহু নির্বাচনী পরীক্ষার বাংলা অংশে ব্যাকরণ এবং সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্যে কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, সাহিত্যকর্ম, বিভিন্ন কবিতার চরণ, উপন্যাস বা গল্পের চরিত্র থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। ব্যাকরণ অংশে আসে বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, সন্ধিবিচ্ছেদ, সমাস, শব্দ, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক, বিপরীতার্থক ও পারিভাষিক শব্দ। লিখিত পরীক্ষায় থাকে অনুবাদ, সাম্প্রতিক বা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে রচনা বা অনুচ্ছেদ লিখন।

কৃষি ব্যাংকের সাভার শাখার কর্মকর্তা নিশাত নূর জানান, ইংরেজি বিষয়ে Fill in the blanks, Sznonym, antonym, phrases and idioms, Tense, Correct Spelling, Sentence Correction, Analogy থেকে প্রশ্ন আসে এমসিকিউ অংশে। একটি বিভাগ থেকে কয়েকটি করে প্রশ্ন থাকতে পারে। সমসাময়িক ইস্যুতে যাদের জানাশোনা ভালো তারা লিখিত পরীক্ষায় রচনায় ভালো করেন। ইংরেজি সাহিত্য অংশে বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম, কবি-সাহিত্যিকদের জন্ম তারিখ, জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের চরিত্র ও বিশেষ উক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আর লিখিত অংশে ব্যাকরণ, পত্র, অনুবাদ ও রচনা লিখন বিষয়ে জোর দিতে ভুলবেন না।

সোনালী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ অফিসার সৌমিত্র সাহা বলেন, যে অংক ভালো পারে, ব্যাংক চাকরি তার জন্য। নিয়োগ পরীক্ষায় সে অন্যের চেয়ে এগিয়ে থাকে। তিনি জানান, যে কোনো ব্যাংকের পরীক্ষায় ভালো করতে হলে মাধ্যমিক পর্যায়ের বই আয়ত্তে থাকতে হবে। এমসিকিউ অংশে সহজে উত্তর করার জন্য শর্টকাট টেকনিক ব্যবহার করে নিয়মিত চর্চা করতে হবে। বিশেষ করে ঐকিক নিয়ম, শতকরা, পরিমাপ ও একক, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি ও পরিমিতি বিষয়ে। তাই আপনাকে এ-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে দক্ষ হতে হবে। এ ছাড়া লসাগু-গসাগু, বর্গ, সরল, মাননির্ণয় ও জ্যামিতিক সূত্র ও সংজ্ঞা তো আছেই।

সহায়ক বইপত্র : জনতা ব্যাংকে গত বছর নিয়োগ পাওয়া এক্সিকিউটিভ অফিসার নাহিদা সুলতানা বলেন, বিসিএসের প্রস্তুতি সহায়ক বই ব্যাংকের পরীক্ষায় অনেক কাজে আসবে। মাধ্যমিক পর্যায়ের বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকাশনীর ব্যাংক রিক্রুটমেন্ট গাইড দেখতে পারেন। আইবিএ-এমবিএ ভর্তি গাইড, জিম্যাট অফিশিয়াল গণিত ও ইংরেজি উভয় বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য দেখতে পারেন। সাধারণ জ্ঞানের জন্য মাসিক তথ্যভিত্তিক পত্রিকা, তথ্যপ্রযুক্তির জন্য এইচএসসি পর্যায়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বই বেশ সহায়ক হবে।

৯১ পদে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

৯১ পদে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়


প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সামরিক নীতি প্রণয়ন এবং কার্যকর করার প্রধান প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭১ সালেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এমন একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার স্বপ্ন থাকে অনেকেরই। সরকারি চাকরির সম্মান আর বর্তমান বেতন স্কেলও বেশ ভালো। প্রতি বছর প্রচুর জনবল নিয়োগ দিচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়াতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েও জনবলের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।
 
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওয়াতাধীন মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস ভিন্ন ভিন্ন ৯১টি পদে নতুন লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং জাতীয় পত্রিকায় এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
 
পদের নাম ও বেতন স্কেল
 
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী বি/আর পদে ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা (৯ম গ্রেড) স্কেলে বেতন পাবেন। সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ই/এম, সহকারী প্রকৌশলী বি/আর, সহকারী প্রকৌশলী ই/এম, সহকারী প্রকৌশলী (আর্কিটেক্ট) পদেও একই স্কেলে বেতন পাবেন। এছাড়া উপ-সহকারী প্রকৌশলী বি/আর এবং ই/এম পদে ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা (১০ম গ্রেড) স্কেলে বেতন পাবেন।
 
পদের সংখ্যা ও আবেদনের যোগ্যতা
 
সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী বি/আর পদে আবেদনের জন্য সরকার কর্তৃক স্বীকৃত যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) পাস এবং চার বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। এ পদের সংখ্যা চারটি। সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ই/এম পদে আবেদনের জন্য সরকার কর্তৃক স্বীকৃত যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেক্ট্রিক্যাল/মেকানিক্যাল/পাওয়ার) পাস এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে চার বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। এ পদের সংখ্যা ১টি।
 
সহকারী প্রকৌশলী বি/আর পদে আবেদনের জন্য সরকার কর্তৃক স্বীকৃত যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) পাস হতে হবে। এ পদের সংখ্যা ৯টি।
 
সহকারী প্রকৌশলী ই/এম পদে আবেদনের জন্য সরকার কর্তৃক স্বীকৃত যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেক্ট্রিক্যাল/মেকানিক্যাল/পাওয়ার) পাস হতে হবে। এ পদের সংখ্যা ৪টি।
 
সহকারী প্রকৌশলী (আর্কিটেক্ট) পদে আবেদনের জন্য সরকার কর্তৃক স্বীকৃত যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ হতে আর্কিটেকচারে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। এছাড়া অটোক্যাড চালনাসহ থ্রিডি অংকনে এবং এনিমেশন প্রেজেন্টেশনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। কিন্তু শিক্ষা জীবনে কোনো স্তরেই তৃতীয় শ্রেণী বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। এ পদের সংখ্যা ১টি।
 
উপ-সহকারী প্রকৌশলী বি/আর পদে আবেদনের জন্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন সরকার কর্তৃক স্বীকৃত পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট হতে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) পাস হতে হবে। এ পদের সংখ্যা ৫০টি।
 
উপ-সহকারী প্রকৌশলী ই/এম পদে আবেদনের জন্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন সরকার কর্তৃক স্বীকৃত পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট হতে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেক্ট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল) পাস হতে হবে। এ পদের সংখ্যা ২২টি।
 
আবেদনের নিয়ম
 
আগ্রহী প্রার্থীগণকে অবশ্যই অনলাইনে আবেদন করতে হবে। http://mes.teletalk.com.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে লগ ইন করলেই একটি লিংক পাওয়া যাবে। ওই লিংকে প্রবেশ করে সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ ও পরীক্ষার ফি জমাদান ১ জুন থেকে শুরু হয়ে ২০ জুন তারিখ পর্যন্ত চলবে। উক্ত সময়সীমার মধ্যে ইউসার আইডিপ্রাপ্ত প্রার্থীগণ অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দিয়ে নির্দিষ্ট সময় থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএস-এর মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে পারবেন।
 
প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই
 
পূর্ত পরিচালক জানিয়েছেন, প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত কোনো তথ্য বা দাখিলকৃত কাগজপত্র জাল, মিথ্যা বা ভুয়া প্রমাণিত হলে কিংবা পরীক্ষায় নকল বা অসদুপায় অবলম্বন করলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। এমনকি তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। এছাড়া তিনি জানান, ভুল তথ্য/জাল কাগজপত্র প্রদর্শিত হলে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করেন। পূর্ত পরিচালক প্রার্থীর যাচাই-বাছাই নিয়ে আরও জানিয়েছেন, যদি কোনো প্রার্থী বাংলাদেশের নাগরিক না হন কিংবা বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করেন বা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন কিংবা কোনো ফৌজদারি আদালত কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগে দণ্ডিত হন কিংবা কোনো সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চাকরি হতে বরখাস্ত হয়ে থাকেন তবে তিনি আবেদন করার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
 
পরীক্ষার তথ্য
 
পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেতে www.mod.gov.bd এবং www.mes.org.bd ওয়েবসাইটে গেলেই পাওয়া যাবে। নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনো নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

শাখা ব্যবস্থাপক' নিয়োগ দেবে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক

শাখা ব্যবস্থাপক' নিয়োগ দেবে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক

সরাসরি ‘শাখা ব্যবস্থাপক’ পদে তিনজনকে নিয়োগ দেবে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড।

স্নাতকোত্তর/এমবিএ/এমবিএম ডিগ্রিধারী এবং ব্যাংকিং সেক্টরে ৫ বছর কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা পদটিতে আবেদন করতে পারবেন।

এই পদের বেতন আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে এবং প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে।

১৯ জুলাই ২০১৬ এর মধ্যে আগ্রহী প্রার্থীরা www.bdjobs.com এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
 

বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিডি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

আবেদনের শেষ তারিখ: ১১ আগষ্ট ২০১৬
Company/ Organization: Bangladesh Local Government Division (LGD)
Positions: Steno typist Cum Computer Operator, MLSS
Application Deadline: 11 August 2016
Source: The Daily Jugantor
Publication Date: 14 July 2016
Number of Vacancy: 09
Job Location: Dhaka
Bangladesh Local Government Division (LGD) Job Circular Detailed are given below.

Job Source

Deadline: August 11, 2016

Job Source: Jugantor
Published Date: July 14, 2016

Daily Prothom Alo

অফিসার নেবে অগ্রণী ব্যাংক

1০০ জন অফিসার নেবে অগ্রণী ব্যাংক

অফিসার (আইসিটি) পদে ১০০ জনকে নিয়োগ দেবে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড। আবেদন করা যাবে ৬ আগস্ট পর্যন্ত। জেনে নিন পদটিতে আবেদনের বিস্তারিত-
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বা কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে আবেদন করা যাবে। শিক্ষাজীবনে কমপক্ষে একটি প্রথম শ্রেণি/ বিভাগ থাকতে হবে। কোনো তৃতীয় বিভাগ থাকা যাবে না।
বয়স: ১ মার্চ, ২০১৬ তারিখে সাধারণ প্রার্থীদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের বয়সসীমা ৩২ বছর।
আবেদনের নিয়ম: অনলাইনে বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়েবসাইটের (erecruitment.bb.org.bd) মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ৬ আগস্ট ২০১৬।
নিয়োগ পদ্ধতি: প্রার্থীদের এমসিকিউ, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন-


বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন-

প্রতিষ্ঠানঃ ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট


প্রতিষ্ঠানঃ ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট
পদের নামঃ ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার, ফিল্ড অফিসার, ফিল্ড অর্গানাইজার, জুনিয়র ফিল্ড অর্গানাইজার, ফিল্ড হিসাবরক্ষক, হিসাবরক্ষক
আবেদনের শেষ তারিখঃ ২৬ জুলাই ২০১৬ ইং
বিস্তারিতঃ

Dam Foundation for Economic Development job circular


১৩ হাজার নার্স নিয়োগ দিচ্ছে সরকার

১৩ হাজার নার্স নিয়োগ দিচ্ছে সরকার


শূন্যপদ পূরণসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৩ হাজার নার্স নিয়োগ দেবে সরকার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত আদেশ জারিসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু করেছে। নার্স নিয়োগের জন্য বিদ্যমান নিয়োগ প্রক্রিয়াও শিথিল করতে যাচ্ছে সরকার।
এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আগামীকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপনের কথা আছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব এরইমধ্যে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পেশ করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র আরো জানিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া শিথিলের পাশাপাশি কোটা পদ্ধতি বাতিলেরও প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য পাঠানো সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) গত ২৮ মার্চ ৩ হাজার ৬১৬টি সিনিয়র স্টাফ নার্সের শূন্য পদ পূরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে ১৮ হাজার ৬৩টি আবেদন জমা পড়েছে। এর আগে কমিশন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে, এমনকি বিসিএস পরীক্ষায় কারিগরি বা পেশাগত পদগুলো পূরণের ক্ষেত্রে প্রাধিকার বা বিশেষ কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কোটাসংক্রান্ত সব শূন্য পদ পূরণ করতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে সরকারের স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিতকরণের এবং প্রধানমন্ত্রীর নার্স নিয়োগসংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন ও নিয়োগ প্রক্রিয়া শিথিল করা দরকার।’

এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে জানান, বর্তমানে সারা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করার জন্য ১৩ হাজার নার্স প্রয়োজন।

এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে আরও ১ লাখ ২ হাজার ৬৭৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী নতুন নিয়োগ হচ্ছে

এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে আরও ১ লাখ ২ হাজার ৬৭৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী নতুন নিয়োগ হচ্ছে

এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে আরও ১ লাখ ২ হাজার ৬৭৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী নতুন নিয়োগ হচ্ছে

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের ব্যবস্থা ছাড়াই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য এমপিও নীতিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে সরকার। প্রস্তাবিত খসড়ায় বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষকদের এমফিল-পিএইচডির মতো উচ্চতর শিক্ষার জন্য কোনো প্রণোদনার সুযোগ রাখা হয়নি। অনার্স-মাস্টার্স কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা নেই। এবারও ৯ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও না দেয়ার তালিকায় রাখা হয়েছে।


তবে বিদ্যমান এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও গণিতসহ বিভিন্ন বিষয়ের জন্য আলাদা পদ সৃষ্টির প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সহকারী গ্রন্থাগারিক এবং এমএলএসএস পদ সৃষ্টির প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত আছে। এতে সারা দেশে এমপিওভুক্ত প্রায় ২৮ হাজার প্রতিষ্ঠানে দেড় লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরির সংস্থান হবে।


শনিবার অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদের সভাপতিত্বে প্রস্তাবিত এমপিও নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব যুগান্তরকে বলেন, নীতিমালার খসড়া তৈরির পর সংশ্লিষ্টদের মত নেয়া হয়েছে। এটি চূড়ান্ত করার জন্য খুব শিগগিরই বৈঠক বসবে।


দেশে বর্তমানে প্রায় ৩৯০টি বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু আছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিষয়ে অনার্স চালু করতে কমপক্ষে ৭ শিক্ষক লাগবে। অনার্স ও মাস্টার্সের জন্য কমপক্ষে ১২ জন লাগবে। এসব শিক্ষকের কাউকেই সরকার এমপিও দেয় না। প্রস্তাবিত নীতিমালাতেও এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষককে এমপিও’র বাইরে রাখা হয়েছে। ফলে অতীতের মতো আগামীতেও কলেজ থেকে প্রাপ্ত অর্থই তাদের সংসার চালাতে হবে। কঠিন বাস্তবতায় যোগ্য শিক্ষকরা এ ধরনের কলেজ-মাদ্রাসায় চাকরির আগ্রহ হারাবেন। ফলে অধিকাংশ বেসরকারি কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।


দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা বলেছেন, বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানই অঙ্গীকারবদ্ধ। ভবিষ্যতে সার্বিক অগ্রগতির জন্য অনার্স-মাস্টার্স কলেজে এমপিও দিতে আমরা অনুরোধ করব। পাশাপাশি শিক্ষার অন্য স্তরেও যেসব শিক্ষক-কর্মচারী এমপিও পান না, সেসব ক্ষেত্রেও এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।


রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের সহকারী অধ্যাপক বদরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, সরকার মানসম্মত শিক্ষা চায়। কিন্তু সরকারি হাইস্কুল আর বেসরকারি হাইস্কুল থেকে মাস্টার্স কলেজ পর্যন্ত শিক্ষকদের উচ্চতর শিক্ষাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। অথচ সরকারি কলেজে এ জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা আছে। আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালায় প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকলেও গত বছর তাও উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা মানসম্মত শিক্ষার পীঠে কুঠারাঘাতের শামিল। তিনি মনে করেন, ডিগ্রি স্তরে তৃতীয় শিক্ষক এবং অনার্স-মাস্টার্সে এমপিও দেয়া উচিত। নইলে এসব প্রোগ্রাম ও শিক্ষক নিয়োগ সরকারের বন্ধ করে দেয়া উচিত হবে।


মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক অধ্যাপক এলিয়াছ হোসেন বলেন, উচ্চতর শিক্ষার জন্য কেবল সরকারি কলেজে প্রণোদনা আছে। এ ক্ষেত্রে উচচ্চশিক্ষা স্তরে প্রথম শ্রেণী থাকলে একটি ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়। এমফিলের জন্য ২টি এবং পিএইচডির জন্য ৩টি ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা আছে।


শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিগ্রি পর্যায়ের মোট ১১ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও’র জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৬ হাজার ৯০টি। এসব প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৪৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। আর কর্মচারী রয়েছেন প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৭৪ জন। সব মিলিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় চার লাখ ৬৬ হাজার জন।


অপরদিকে প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী, নতুন পদ সৃষ্টির কারণে উল্লিখিত ২৬ হাজার ৯০টি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে আরও ১ লাখ ২ হাজার ৬৭৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী নতুন নিয়োগ করা হবে। ইতিপূর্বে বাংলা, ইংরেজি ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য নিু মাধ্যমিক স্কুলে ১ জন শিক্ষক নিয়োগ করা যেত। নতুন প্রস্তাবে এ তিন বিষয়ের জন্য তিনজন শিক্ষক নিয়োগের কথা আছে। আবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলে বাংলা, ইংরেজি, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ৩ জন শিক্ষক পাওয়া যেত। এখানে আরও ১ জন বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে বাড়তি এ শিক্ষক হবেন ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ের। বিদ্যমান নীতিমালায় ৬টি শর্ত পূরণ করে এমপিও পেতে হয়। এগুলো হল : প্রাপ্যতা, স্বীকৃতি/অধিভুক্তি, জনবল কাঠামো পূরণ, কাম্য শিক্ষার্থী ও ফলাফল, ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ ছয়টির মধ্যে এমপিওপ্রত্যাশী প্রতিষ্ঠানকে বর্তমানে ৫০ ভাগ শিক্ষার্থীকে পাস করাতে হয়। এটা ৭০ ভাগ করা হবে।


ইতিপূর্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলে এবং দাখিল ও আলিম পর্যায়ের মাদ্রাসায় বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন ১ জন। তিনিই পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যা ও উচ্চতর গণিত পড়াতেন। এর ফলে পাঠদানে জটিলতা হতো। নতুন প্রস্তাবে ভৌতবিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞানের জন্য আলাদা শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। গণিত বিষয়ের জন্য আলাদা শিক্ষক দেয়া হবে। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রভাষকদের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ২৫ জন করে শিক্ষার্থী থাকতে হয়। প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এ শর্ত শিথিল করে ১৫ জন করা হয়েছে।


প্রস্তাবিত খসড়ায়, ইবতেদায়ি সংযুক্ত দাখিল, আলিম ও ফাজিল মাদ্রাসায় বাংলা, ইংরেজি, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় ২ জন করে শিক্ষকের জায়গায় ৪ জন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক বিষয়ে ১ জন করে পাবে। সেই হিসাবে ব্যবসায় শিক্ষা চালু না থাকলে এ বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না। মাধ্যমিক সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখন থেকে জুনিয়র শিক্ষকের পরিবর্তে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে এনটিআরসিএ’র (সরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ) মাধ্যমে। ৪ জন শিক্ষক দেয়া হবে।


মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রথমবারের মতো শারীরিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং চারু ও কারুকলা বিষয় প্রবর্তন করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ইতিপূর্বে শরীরচর্চা শিক্ষক যারা ছিলেন তারা শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে গণ্য হবেন। আর বাকি দু’বিষয়ের জন্য শিক্ষক দেয়ার প্রস্তাব রয়েছে।


এর বাইরে স্কুল ও মাদ্রাসায় কৃষি এবং গার্হস্থ্য বিষয়ে অভিন্ন না হলেও একই শিক্ষককে পড়াতে হতো। নতুন নীতিমালায় গার্হস্থ্য বিষয়ের জন্য আলাদা শিক্ষকের প্রস্তাব আছে। মাদ্রাসায় দাখিল-আলিমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের জন্য শিক্ষক দেয়া হবে। শিক্ষকের পাশাপাশি দাখিল মাদ্রাসায় ১ জন করে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার এবং স্কুল-মাদ্রাসায় এমএলএসএস পদ বাড়ানোর প্রস্তাব আছে।


বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ) শিক্ষক ও কর্মচারীদের এমপিও প্রদান এবং জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকা শীর্ষক এ নীতিমালা প্রথমে ১৯৯৫ সালে প্রণীত হয়। ২০১০ ও ২০১৩ সালে এটি দু’দফায় সংশোধিত হয়েছে।